লক্ষ্মণভোগ যেন এবার লক্ষ্মীছাড়া Leave a comment

আম ভাঙার কাজে এসে বাগানে খেতে বসেছেন চার শ্রমিক। খেতে খেতে গল্প করছেন। আম নিয়েই সে গল্প। শ্রমিক শাহাবুল বলছেন, ‘আজ ভাঙছি গরিবের আম। আবার কাল ভাঙতে হবে বড় লোকের আম।’ মাসুম বললেন, ‘যে আমই ভাঙি মজুরি সাড়ে তিন শ টাকার কম হলে হবে না।’ তাঁর কথায় সায় দিয়ে শাহাবুদ্দিন ও রাশেদ মাথা নাড়লেন। শুনতে শুনতে তাঁদের গল্পের সঙ্গে যুক্ত হই।

জানতে চাই, আমের কি ধনি-গরিব আছে ভাই? এ কথা শুনে চারজন শ্রমিকই হেসে উঠলেন, কিন্তু পাশে দাঁড়ানো বাগানের মালিক আবদুর রশিদ হাসলেন না। তিনি খানিকটা আনমনা হয়ে গেলেন। তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াই। সুধাই, ওরা কী বলছে ভাই। বাগানমালিক বলছেন, ওরা ঠিকই বলছে, আজ গরিবের আম ভাঙছি। যাঁরা গরিব বা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাঁরা বেশির ভাগই কম দামের লক্ষ্মণভোগ আম কেনেন। যাঁদের হাতে পয়সা আছে, তাঁরা বেশি দামের আম গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপলি—এসব আম কেনেন। এই আম মিষ্টি বেশি, আঁশ কম। খেতে সুস্বাদু। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এসব আমের দাম চড়া। আর লক্ষ্মণভোগ আমের চাষ বেশি হলেও দাম ক্রমশ কমছে। কারণ, এবার এই আমের ক্রেতাদের হাতে পয়সা নেই।

বাগানমালিক রশিদ বললেন, খুলনার আড়তে পাঠাতে সাত দিন আগে আম ভাঙতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আড়তদার ফোন করে মানা করেছিলেন। এখন মৌসুম শেষের দিকে। যে দামেই হোক আম তো বিক্রি করতে হবে। লক্ষ্মণভোগ জাতের তাঁর প্রায় চার শ মণ আম অবিক্রীত রয়ে গেছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা মিয়াপাড়া গ্রামের একটি বাগানে গত মঙ্গলবার (১৬ জুন) তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের কথাবার্তায় একটি নতুন হিসাব মাথায় আসে। রাজশাহীর গোটা জেলায় যে পরিমাণ আম চাষ হয়, তার অর্ধেক হয় বাঘা উপজেলায়। বাঘার কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বললেন, উপজেলার প্রায় ৭০ শতাংশ আমবাগান লক্ষ্মণভোগের।

আবদুর রশিদ আরও তথ্য দিলেন, নতুন জাতের আম আসার কারণে চাষিরা এখন লক্ষ্মণভোগ আমের বাগান বদলে ফেলছেন। এই বাগানের গাছের ফাঁকে ফাঁকে আম্রপলি জাতের গাছ লাগিয়ে দিচ্ছেন। দিঘা গ্রামের আবদুল মান্নান তাঁর তিন বিঘা জমির লক্ষ্মণভোগ আমের বাগানের ফাঁকে ফাঁকে নতুন করে আম্রপলি ও হিমসাগর আমের গাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। দিঘা বাজারের মেঘলা কফি হাউসে গিয়ে পাওয়া যায় আবদুল মান্নানকে। তিনি বললেন, গরিবের বাগানের মালিক হয়ে শুধু শুধু গরিব হয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। তাঁর তিন বিঘা বাগান যদি হিমসাগরের হতো, তাহলে এখন চার গুণ বেশি দামে আম বিক্রি করতে পারতেন। তাই বাগানের গাছ বদলে দিচ্ছেন। তাঁর মতো অনেকেই এখন গাছ বদলে ফেলছেন।

এদিকে রাজশাহীতে আমের হাটের চিরাচরিত ম–ম গন্ধ ও আমের রঙের বাহার এবার একটু কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম পরিপুষ্ট হওয়ার জন্য লম্বা একটা শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ার দরকার হয়। এবার আমের মৌসুমে বাড়তি বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত সেই হাওয়া মেলেনি। এই প্রভাব সব আমের ওপরই পড়েছে। তারপরও ঝড়ে আম পড়ে যাওয়ায় আমের সরবরাহ কম। এ জন্য অন্য আমের চাহিদা বেশি, দামও বেশি। লক্ষ্মণভোগের কপাল খোলেনি।

প্রচুর ফলন হওয়ায় একসময় লক্ষ্মণভোগ আমের বাগান করার হিড়িক পড়ে যায়। এই আম খেতে একটু কম মিষ্টি হয় কিন্তু রং খুব উজ্জ্বল, দেখতে খুব সুন্দর। এবার এই আমের রংও অতটা ভালো হয়নি। মিষ্টিও কম। একটু টকও লাগছে। এমনটিই বললেন বাঘা উপজেলার দিঘা বাজারের মেসার্স আকরাম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আকরাম হোসেন। তাঁর আড়তে লক্ষ্মণভোগ আম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে কেনা হচ্ছে।

নিম্ন আয়ের মানুষ লক্ষ্মণভোগ কেনেন
এবার হাতে পয়সা নেই বলে এই আমের বিক্রি কম
যাঁরা গরিব বা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাঁরা বেশির ভাগই কম দামের লক্ষ্মণভোগ আম কেনেন

দিঘা গ্রামে আমচাষি আবদুল বারি তাঁর নিজ বাগানের লক্ষ্মণভোগ আম ভাঙছিলেন। কী দামে বিক্রি করলেন, জানতে চাইলে বলেন, ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলেন। মোট ২২ মণ ২৯ কেজি লক্ষ্মণভোগ আম হলো। সবই ওই দামে দিতে হলো। তাঁর আক্ষেপ, এর মধ্যে আবার কর্মচারীদের খরচ বাদ দিতে হচ্ছে। যে কর্মচারী আম ভেঙে নিজের ভ্যানে করে আড়তে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁকে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যে কর্মচারী শুধু আম ভাঙছেন তাঁকে তিন–সাড়ে তিন শ টাকা দিতে হচ্ছে। তাঁর বাগানের আম ভ্যানে করে টানছিলেন কর্মচারী সেলিম। তিনি বললেন, আমের দাম যা-ই হোক। তাঁর পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা।

লক্ষ্মণভোগের ক্রেতা কম কেন

লক্ষ্মণভোগ আমের এ অবস্থা কেন, জানতে চাইলে রাজশাহীর বড় আমচাষি ও ব্যবসায়ী আসাফুদ্দৌলা বললেন, সাধারণত তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরাই লক্ষ্মণভোগের প্রধান ক্রেতা। এবার তাঁদের হাতে পয়সা না থাকায় এ আম বেচাকেনা কমে গেছে। আর যাঁরা সমাজের বিত্তবান তাঁরা হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া কিনছেন। সেই আমের দাম আবার গত বছরের চেয়ে বেশি।

১৬ জুন দুপুরে উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা আমে ব্যাগ পরানোর কাজ করছেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে আমের গায়ে একটা কালচে দাগ পড়েছে। ‘মেডিসিন স্প্রে’ করলে এই দাগটা উঠে গিয়ে আম উজ্জ্বল হবে। কিন্তু তিনি মেডিসিন না দিয়ে ‘ব্যাগিং’ করছেন। গাছের প্রত্যেকটি আমকে একটি বিশেষ কাগজের মোড়ক দিয়ে মুড়ে দেয়াকে ব্যাগিং বলা হয়। ব্যাগের ভেতরে আম থাকলে আমের রং উজ্জ্বল হবে। কোনো দাগ থাকবে না। দামও ভালো পাওয়া যাবে। তিনি এখন তাঁর ফজলি ও আশ্বিনা আমের গায়ে ব্যাগ পরাচ্ছেন। তবে হিমসাগর এখন যাঁদের গাছে রয়েছে সেগুলোর গুণগত মান ঠিক আছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মণ ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম উঠেছে আড়াই হাজার টাকা। এই আম ঢাকার অভিজাত বিপণিবিতানে চড়া দামে বিক্রি হবে। এটা বড়লোকের আম। নিম্ন আয়ের মানুষ এই আম কিনতে পারবেন না। তিনিও লক্ষ্মণভোগ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় বাজারে এই আম তিনি ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান।

বাগানে কাজ করছেন ছাত্ররা

আনোয়ার হোসেনের বাগানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের বেশির ভাগই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে হাত খরচের পয়সা জোগাড় করতে নেমে পড়েছেন তাঁরা। অবশ্য শিক্ষার্থীদের অনেকে প্রতি মৌসুমেই এ কাজে যুক্ত হন। শিক্ষার্থীদের একজন মুন্না আজিজ। তাঁর বাড়িও এই আড়পাড়া গ্রামেই। তিনি ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে সম্মান শ্রেণিতে পড়ছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছরই তিনি আমের মৌসুমে বাগানে কাজ করে আয় করেন। আমের কালচে রং দূর করতে অন্য বাগানে ওষুধ দেওয়ারও কাজ করেছেন তিনি। এখন আনোয়ার হোসেনের বাগানে ব্যাগিংয়ের কাজ করছেন। এই মৌসুমে আমবাগানে কাজ করে তিনি প্রায় ২০ হাজার টাকা আয় করেছেন। তাঁরা আটজন ছাত্র একসঙ্গে বিভিন্ন বাগানে কাজ করেন।

বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সানারুল ইসলাম ও মাস্টার্সের ছাত্র সাইদুর ইসলামকে পাওয়া যায় সেখানে। তাঁরাও প্রতি আমের মৌসুমে এভাবে কাজ করে আয় করেন। তাঁরা বললেন, প্রতিদিন তাঁদের খাওয়া বাবদ ১০০ টাকা এবং পারিশ্রমিক হিসেবে ৩৫০ টাকা দেওয়া হয়।

এবার আম যাচ্ছে না বিদেশে

কয়েক বছর ধরে বাঘা থেকে সরাসরি ইউরোপের বাজারে আম পাঠায় ‘সাদী এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গত বছর তারা ৩৬ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করেছিল। আর ঢাকার অভিজাত বিপণাবিতানগুলোকে ১৮ মেট্রিক টন আম দিয়েছিল। গত বছর তারা নিজের বাগানের ও কেনা মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার টন আম বিক্রি করেছে। সাদী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে ছানা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও বিদেশে আম গেল না। এতে তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

আম পাঠিয়ে বিব্রত

ওই দিনই দেখা হয় দিঘার কলেজশিক্ষক গোলাম তোফাজ্জলের সঙ্গে। তিনি প্রতিবছর ঢাকায় তাঁর মামার বাসায় ১৫ থেকে ২০ মণ আম পাঠান। মামা সেই আম তাঁর বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে থাকেন। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। এমন বাগান থেকে সরাসারি তিনি আম পাঠিয়ে থাকেন। এবার তিনি প্রথমে এক মণ গোপালভোগ আম পাঠানোর পর তাঁর মামা জানিয়েছেন, আম ভালো না। মিষ্টি কম, টক। আমের গায়েও দাগ। এবার আর আম পাঠানোর দরকার নেই। এই কলেজশিক্ষক বলেন, তিনি নিজে বাগানে দাঁড়িয়ে থেকে আম ভেঙে দিয়েছেন। শুধু আবহাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় আরও দুই আত্মীয়ের কাছে তিনি এক মণ আম পাঠিয়েছেন। তাঁরাও বলছেন, আম ভালো না।

ভ্রাম্যমাণ আম বিক্রেতারা যা বলেন

রাজশাহী শহরের ভ্যানে করে গুটি জাতের কাঁচা–পাকা ল্যাংড়া আম বিক্রি করেন জিয়ারুল ইসলাম। নগরের ঘোড়ামারা এলাকায় বুধবার সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর ভ্যানভর্তি আমের একই অবস্থা। আমে একটু কালচে দাগ পড়েছে। পাকা আমের গন্ধও ভেসে আসছে না। এই অভিযোগের সহজ উত্তর দিলেন জিয়ারুল, এবার লাগাতার বৃষ্টির কারণে রং এমন হয়েছে। তবে আমের স্বাদ ভালো আছে। প্রথমে দাম হাঁকলেন, ৫০ টাকা কেজি। আমের গুণাগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই দাম ৪০ টাকায় নেমে এল।

বানেশ্বর বাজারে আম শোধন

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজার। বুধবার সেখানে গিয়ে আমের বাজারের সেই আগের আমেজ অনেকটাই কম দেখা গেল। পাকা আমের ঘ্রাণও পাওয়া যাচ্ছে না। চাষিরাও বলছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেই এ অবস্থা। এই বাজারেও লক্ষ্মণভোগের দাম কম।

পুঠিয়ার বালিয়াঘাটা গ্রামের আমচাষি শাহজামাল তাঁর বাগানের আম নিয়ে এসেছিলেন। বললেন, এবার আমের রংটা ভালো হয়নি। আবার বোঁটার কাছ থেকে আগেই পচন হচ্ছে।

তবে আম পাকা পাঁচ থেকে সাত দিন বিলম্বিত করার জন্য বানেশ্বর বাজারে গরম পানিতে আম শোধন করার প্লান্ট বসানো হয়েছে। রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন গত সোমবার বলেন, বানেশ্বরে তাঁরা ‘হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ বসিয়েছেন। এই প্লান্টে আম পরিষ্কার করে নিলে আম পাকা পাঁচ থেকে সাত দিন বিলম্বিত হবে। বোঁটার কাছ থেকে আম পচবে না। বাইরে পাঠানো হলে পথে আম পচার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমের রংটাও একটু উজ্জ্বল হবে। এই প্লান্টে প্রতি কেজি আম পরিষ্কার করতে খরচ পড়বে ৮৭ পয়সা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার ব্যবসায়ীদের বিনা মূল্যে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই প্লান্টে ঘণ্টায় ৫০০ কেজি আম পরিষ্কার করা যাবে। বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, যাঁরা বাইরে আম পাঠাচ্ছেন তাঁরা এই শোধনাগারে আম শোধন করে নিচ্ছেন। বানেশ্বরের আমজাদ হোসেন নামের এক যুবক এক মণ আম পরিশোধন করে নিলেন। তিনি বললেন, আম পচে নষ্ট হবে না, রংটাও একটু ভালো হবে এ কথা শুনে তিনি আম পরিশোধন করে নিলেন। এ জন্য কোনো পয়সা দিতে হয়নি।

আম পরিবহনব্যবস্থা

রাজশাহী থেকে এবার বাইরে আম পরিবহনের বিশেষ ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ডাক বিভাগের একটি ট্রাকে চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৫ টন করে আম বিনা মূল্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আম পরিবহনের জন্য ‘ম্যাংগো ট্রেন’–এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও কুরিয়ার সার্ভিসে আম পাঠানোর সেই ভিড় এবারও রয়েছে।

নতুন সম্ভাবনা

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হকের তথ্য, রাজশাহীতে ৮৬ হাজারের বেশি আমচাষি রয়েছেন। আম ভাঙা ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত আছেন আরও অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। যুক্ত আছেন প্রায় ৬০০ ব্যবসায়ী ও আড়তদার। লেনদেন হয় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। প্রচলিত ছয় জাতের আমের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বারি-৪ জাতের আম। মৌসুমের শেষে আশ্বিনা আমের সঙ্গে এই আম পাকবে। খেতে সুস্বাদু এই জাতের আমের ভালো দামও পাবেন চাষিরা।

খবর কৃতজ্ঞতাঃ প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published.